বৃহস্পতিবার, ২৩ মার্চ ২০২৩, ০১:০৭ পূর্বাহ্ন
বিশেষ প্রতিবেদক :
বৈশ্বিক মহামারি আকার ধারণকারী প্রাণঘাতী করোনা ভাইরাসের (কোভিড-১৯) ভয়াল থাবা বর্তমানে বিশ্বের অন্যান্য দেশের ন্যায় বাংলাদেশেও এসে পড়েছে। প্রাণঘাতী এ ভাইরাসের তান্ডব মোকাবেলায় দেশের সরকার, প্রশাসন, চিকিৎসকসহ বিভিন্ন আইন শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী সদস্যরা অক্লান্ত পরিশ্রম করে যাচ্ছে।
ঠিক তাদের সাথেই দেশব্যাপী নিজেরদের স্থান থেকে নিজ নিজ সামর্থ্যানুযায়ী এই প্রাণঘাতী ভাইরাসের তান্ডব মোবাবেলায় সরকারকে সহায়তার হাত বাড়িয়ে দিয়েছে বিভিন্ন সামাজিক স্বেচ্ছাসেবী ও তরুন সংগঠন। দেশের অন্যস্থানের ন্যায় বরেন্দ্র অঞ্চলেরও বিভিন্ন সংগঠন কাজ করে যাচ্ছে।
বরেন্দ্র অঞ্চলের ঠিক তেমনিই একটি সংগঠন ‘লাভলী ফাউন্ডেশন’। বাংলাদেশের বিভিন্ন অঞ্চলের পিছিয়ে পড়া সুবিধাবঞ্চিত অসহায় মানুষের উন্নয়নে কাজ করছে। দীর্ঘ সময় ধরে নানা ভাবে অবদান রাখছে মানুষের ভাগ্য পরিবর্তন করার জন্য। এ দেশের এমন সংকটাপন্ন মূহূর্তেও তারা বসে নেই। মানবতার সেবায় তারা ঝাঁপিয়ে পড়েছে। যা সত্যিই প্রশংসার দাবিদার।
২০১৪ সালে বরেন্দ্র অঞ্চলে যাত্রা শুরু করে ‘লাভলী ফাউন্ডেশন’ নামের এই স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনটি। বৈশ্বিক মহামারির সময়ও সংগঠনটি পরিচালনা করে যাচ্ছে তাদের কার্যক্রম।
ভাইরাসের সংক্রামন বন্ধে দেশের মানুষকে নিরাপদে ঘরে রাখতে ঘোষণা করা হয়েছে ‘লকডাউন’। ফলে দেশে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান, কলকারখানা, অফিস-আদালত সহ জরুরী সেবা ব্যতিত সকল কার্যক্রম বন্ধ রয়েছে।
এতে দেশের নিম্নশ্রেনীর শ্রমজীবী অধিকাংশ মানুষজন হয়েছে কর্মহীন। কর্মহীন হওয়ায় তাদের নানা সংকটের সৃষ্টি হয়েছে। আর তাতে পোহাতে হচ্ছে দূর্ভোগ আর ভোগান্তি। কঠিন হয়ে পড়েছে অসহায় মানুষগুলোর জীবনধারণ। তবুও জীবন বাঁচানোর জন্য গৃহবন্দি থাকতে বাধ্য হতে হচ্ছে।
এমন প্রতিকুল পরিস্থিতে সেবার আলোকবর্তিকা হাত নিতৃতে নিম্নশ্রেনীর কর্মহীন অসহায় মানুষগুলোর সংকট কাঁটাতে তাদের পাশে এসে দাঁড়িয়েছে লাভলী ফাউন্ডেশন। নীরবে নিভৃতে তাদের সেবা করছে সংগঠনটির স্বেচ্ছাসেবীরা।
গত ১৩ এপ্রিল নাটোর জেলার সিংড়া থানাধীন ইটালি ইউনিয়নস্থ তাজপুর গ্রামসহ পার্শ্ববর্তী গ্রামের গৃহবন্দি অসহায় মানুষের মাঝে ‘উপহার’ হিসেবে চাল-ডালসহ নিত্যপ্রয়োজনীয় ভোগ্যপণ্য বিতরণ করে।
এদিকে জেলার গোলাপুর পৌর এলাকাস্থ বিভিন্ন এলাকাতেও উপহার হিসেবে খাদ্যসামগ্রী বিতরণ অন্যদিকে বাগাতিপাড়ায় চিকিৎসক-পুলিশের মাঝে ব্যাক্তিগত সুরক্ষা সামগ্রী (পিপিই) এবং মাস্ক প্রদান করে তারা।
স্বাস্থবিধি মেনে ও সামাজিক দূরত্ব নিশ্চিত করেই সেবা প্রদান করছেন তারা পাশাপাশি অন্যদেরও এ বিষয়ে অবগত করছেন।
এছাড়াও বৈশ্বিক মহামারি আকার ধারণকারী প্রাণঘাতী করোনা ভাইরাসের (কোভিড-১৯) সংক্রান্ত গণসচেতনতা সকলের মাঝে ছড়িয়ে দিচ্ছে স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনটির সদস্যরা। তাদের চলমান কার্যক্রম অব্যহত থাকবে বৈশ্বিক এ সমস্যার সমাধান না হওয়া অবধি এমনটাই জানিছেন পরিচয় প্রকাশে অনিচ্ছুক সংগঠনটির সঙ্গে জড়িতরা।
পরিচয় প্রকাশে অনিচ্ছুক লাভলী ফাউন্ডেশনের একজন কর্ণধার বলেন, ‘সচেতনতার বিকল্প নেই বৈশ্বিক মহামারি প্রাণঘাতী করোনা ভাইরাসের (কোভিড-১৯) মোকাবেলায়। সংক্রামণ এড়াতে স্বাস্থবিধি মেনে চলা ও সামাজিক দূরত্ব নিশ্চিত করার কোনও বিকল্প নেই। তাই জরুরী প্রয়োজন ব্যতিত ঘরের বাইরে যাওয়া উচিৎ নয়।’
তিনি আরো বলেন, ‘এটা বাস্তাবায়ন করতে গিয়েই নিম্নশ্রেনীর শ্রমজীবী অধিকাংশ মানুষজন হয়েছে কর্মহীন। সৃষ্টি হয়েছে নানা সংকটের। সেই দিক বিবেচনা করে সংগঠনের পক্ষ থেকে সামর্থ্যানুযায়ী সেবা প্রদান করা হচ্ছে।’
Leave a Reply