রবিবার, ০১ অক্টোবর ২০২৩, ১১:৪৯ অপরাহ্ন
নিজস্ব প্রতিবেদকঃ
চলমান মহামারি পরিস্থিতিতে রাতের আঁধারে নাগরিকদের ত্রাণ সামগ্রী দিতে গিয়ে বিপাকে পরেছেন স্থানীয় কাউন্সিলর ও তার সহযোগীরা। সোমবার (০৪ মে) রাতে এ রাজশাহী মহানগরীর ২৬ নম্বর ওয়ার্ডের জামালপুর এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। ত্রাণ বিতরণ করতে গিয়ে বিপাকে পড়া কাউন্সিলর হলেন রাজশাহী সিটি কর্পোরেশনের ২৬নং ওয়ার্ডের কাউন্সির আক্তারুজ্জামান চঞ্চল।
এসময় স্থানীয়রা এক ভ্যান সরকারি ত্রাণ (৭০ প্যাকেট চাল) জব্দ করে পুলিশে খবর দেন। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে চন্দ্রিমা থানার পুলিশের একটি দল সেখানে উপস্থিত হয়। পরে পুলিশ আইডি কার্ড দেখে স্থানীয়দের মাঝে জব্দকৃত ত্রাণ সামগ্রীগুলো বিতরণ করেন।
স্থানীয়দের অভিযোগ, রাজশাহী সিটি কর্পোরেশনের স্থানীয় (২৬নং ওয়ার্ড) কাউন্সিলর আক্তারুজ্জামান চঞ্চল রাতের আঁধারে তার পছন্দের লোকজনদের ত্রাণ সামগ্রী পৌঁছে দিচ্ছিলেন। অথচ দিনের বেলায় তার কাছে সাধারণ মানুষ ত্রাণের জন্য গেলে তিনি ‘ত্রাণসামগ্রী নাই’ বলে ফিরিয়ে দিচ্ছেন। এতে করে বঞ্চিত হচ্ছেন প্রকৃত গরিব ও অসহায় মানুষ। এ নিয়ে সাধারণ মানুষের মাঝে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে।
স্থানীয় এলাকাবাসীরা বলেন, তারা সোমবার (০৪ মে) রাতের আঁধারে সরকারি ত্রাণ বিতরণ করার সময় সরকারি ত্রাণসহ (৭০ প্যাকেট চাল) হাতেনাতে স্থানীয় কাউন্সিরের সহযোগিদেরকে ধরেন এবং সরকারি ত্রাণগুলো জব্দ করেন। প্রতিটি প্যাকেটে ৫ কেজি করে চাল ছিলো।
এসময় বিপাকে পড়েন কাউন্সিলরের লোকজন। খবর পেয়ে কাউন্সিলর ঘটনাস্থলে গেলে তিনিও স্থানীয় উত্তেজিত জনগণের তোপেরমুখে পড়েন। পরে পুলিশ গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। এরপর জব্দকৃত ত্রাণ সামগ্রীগুলো গরিব মানুষের মাঝে বিতরণ করে দেওয়া হয়।
বিষয়টি স্বীকার করে চন্দ্রিমা থানার এসআই মাসুদ রানা বলেন, এলাকাবাসী ক্ষুদ্ধ হয়ে এক ভ্যান সরকারি ত্রাণ জব্দ করেছিল। পরে সেগুলো এলাকার গরিবদের মাঝে বিতরণ করে দেওয়া হয়েছে।
স্থানীয় (২৬নং ওয়ার্ড) কাউন্সিলর আক্তারুজ্জামান চঞ্চল জানান, ১৫ হাজার কেজি খাদ্য সামগ্রী পেয়েছেন তিনি। যা স্থানীয় ১৫০০ পরিবারের মাঝে বিলি করা হয়েছে। তবে সোমবার (০৪ মে) রাতের চালের প্যাকেটগুলো সরকারি ত্রাণ ছিল না বলে দাবি করে কাউন্সিলর আক্তারুজ্জামান চঞ্চল বলেন, সেগুলো তিনি অন্য জায়গা থেকে সংগ্রহ করা হয়েছে।
Leave a Reply