মঙ্গলবার, ০৩ অক্টোবর ২০২৩, ১১:১৯ পূর্বাহ্ন
নিজস্ব প্রতিবেদক:
এবারও রাজশাহীতে আমপাড়ার সময়সীমা বেধে দিয়েছে জেলা প্রশাসন। সুষ্ঠু বাজারজাত করণের লক্ষ্যে এবং ক্ষতিকারক কেমিক্যালমুক্ত আম সরবরাহ নিশ্চিত করতে এ পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে জেলা প্রশাসন। তাই আগামী ১৫ মে’র আগে রাজশাহীতে কোনো ধরনের আম পাড়া যাবে না।
১৫ মে থেকে পাড়া যাবে গুটি জাতের আম। তবে অন্য জাতের আম পাড়া যাবে আরও দেরিতে। পর্যায়ক্রমে জেলায় বিভিন্ন জাতের আমপাড়া যাবে। তবে সেক্ষত্রেও নির্দিষ্ট সময়সীমা মেনেই আম বাজারজাত করতে হবে। এই নির্দেশনার বাইরে গিয়ে কোনো ব্যবসায়ী বা আমচাষি আম বাজারজাত করলে এবং বাজারজাতের চেষ্টা করলে তার বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
পাশাপাশি এবারও গত কয়েক বছরের ন্যায় সুষ্ঠ বাজারজাত ও সারাদেশে কেমিক্যালমুক্ত আম সরবরাহ নিশ্চিত করতে মাঠে থাকবে জেলা প্রশাসনের বিশেষ টিমসহ উপজেলা প্রশাসন।
দেশজুড়ে তো বটেই দেশের বাইরেও রয়েছে রাজশাহীর আমের ব্যাপক চাহিদা। সেই চাহিদার কারণে কিছু কিছু অসাধু ব্যবসায়ী সময়সীমার আগেই অপোক্ত আম গাছ থেকে পেড়ে কেমিক্যাল দিয়ে আম পাকিয়ে বাজারজাত করে আসছিলেন। এতেই একপর্যায়ে নষ্ট হতে থাকে রাজশাহীর আমের সুনাম। এতে করে বাজার হারাতে শুরু করে রাজশাহীর আম।
ফলে প্রকৃত ব্যবসায়ীরাও লোকসানের মুখে পড়তে শুরু করেন। এই অবস্থা থেকে উত্তরণে সারাদেশে পোক্ত এবং কেমিক্যালমুক্ত আম বাজারজাতকরণের লক্ষ্যে ও ব্যবসায়ীদের রক্ষা করতে বিগত কয়েক বছর ধরে আমপাড়ায় সময়সীমা বেধে দিচ্ছে রাজশাহী জেলা প্রশাসন।
এতে করে সফলতাও এসেছে গত কয়েক বছরে। তারই ধারাবাহিকতায় এবারও আম সরবরাহ করতে সময়সীমা বেধেঁ দেওয়া হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (৭ মে) জেলা প্রশাসকের কার্যালয় থেকে এ সময়সীমা বেধে দেওয়া হয়। তার আগে আমচাষী ও ব্যবসায়ীদের সঙ্গে আলোচনা করে নেয় জেলা প্রশাসন। সেই অনুযায়ী আগামী ১৫ থেকে গুটিজাতের আম পাড়ার সময়সীমা বেধে দেওয়া হয়।
এরপর গোপাল ভোগ জাতের আম ২০ মে থেকে, লোখনা বা লক্ষণভোগ ২৫ মে থেকে, রানীপছন্দ বা রানীপ্রশাদ ২৫ মে, সিমসাগর ২৮ মে থেকে, ল্যাংড়া ৬ জুন থেকে, আম্রপালি ও ফজলি ১৫ জুন থেকে এবং আশিনা ও বারি-৪ জাতের আম ১০ জুলাই থেকে পাড়া যাবে বলে নির্দেশনা দেওয়া হয়।
রাজশাহী জেলা প্রশাসক হামিদুল হক বলেন, ‘রাজশাহীর আমের ব্যাপক চাহিদা রয়েছে। কিন্তু এই সুযোগে কোনো অসাধু ব্যবসায়ী যেন অপোক্ত ও কেমিক্যালযুক্ত আম বাজারজাত করতে না পারে সে জন্যই গত কয়েক বছরের ন্যায় আমপাড়ার সময়সীমা বেধে দেওয়া হয়েছে। এই নির্দেশনা ভঙ্গকারীদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নিবে জেলা প্রশাসন। তবে এর জন্য রাজশাহীর মানুষকে এবারো সচেতন থাকতে হবে। যেন কেউ অপরিপোক্ত আম বাজারজাত করতে না পারে।’
সূত্র: সিল্কসিটি নিউজ
Leave a Reply