মঙ্গলবার, ০৩ অক্টোবর ২০২৩, ১০:৩৪ পূর্বাহ্ন
বাংলাদেশের কুত্তার বাচ্চা গুলো ফাকাঁ রাস্তায় না খেয়ে কঙ্কাল হচ্ছে। আর চায়নার বাবুর্চিরা সেই হাড় দিয়ে নেহারি রান্না করার প্রস্ততি নিচ্ছে। আমরা সেই নেহারির ঘ্রান ঘরে বসে নিয়ে জিব্বার লালা ফেলছি।
কথা গুলো কেমন তাই না? বিষয়টা কি? আমার যে সকল শিক্ষিত, জ্ঞানী বন্ধুরা (ফেসবুকে) আছেন তাদের সবাইকে বলছি। একটু মন দিয়ে পড়বেন সম্পূর্ণ লেখাটা।
করোনা ভাইরাস চায়নাতে ১ম ধরা পরেছে ডিসেম্বর ২০১৯ সালে। ২৭ জানুয়ারী চায়না থেকে বাংলাদেশী নাগরিক ফিরিয়ে আনা হয়েছে।
চায়নাতে যখন করোনা ভাইরাস ধরা পরে তার ১৪ দিন আগে এই ভাইরাস সবাই শরীরে বাসা বেঁধেছে নিশ্চয়ই? চায়নার এই করোনা ভাইরাসের চরিত্র অনুযায়ী।
ডিসেম্বর থেকে জানুয়ারী পযন্ত বাংলাদেশে কয়টা ফ্লাইট আসছে? যদি ১৪ দিন আগে ভাইরাস শরীরে প্রবেশের পর মানুষের লক্ষন দেখা যায় আর করোনা ভাইরাসের রুগির স্পর্শে যদি ভাইরাস ছড়ায় তাহলে তো বাংলাদেশ, ইন্ডিয়া, নেপাল এসব দেশে আরো আগে করোনায় মানুষের মৃত্যু শুরু হয়ে যাবার কথা। তাহলে কি করোনা ভাইরাস আমাদের দেশের আবহাওয়ার অপেক্ষা করছিলো কোন আবহাওয়াতে জ্বর,কাশী,সর্দি বেশী হয়?
ধরুন, কোন একজন ব্যাক্তি চায়নার উহান শহরে গিয়েছে ডিসেম্বরে, চায়নাতে তখন ১০০ জনের ভেতরে ৮০ জন করোনা ভাইরাস শরীরে বহন করছে তাদের একজনের স্পর্শে আপনার শরীরেও আসলো। আপনি লিংক ফ্লাইটে ইন্ডিয়া হয়ে বাংলাদেশ ফিরলেন। আপনি ইন্ডিয়ার এয়ারপোর্টে ১০০০ জনের ভেতরে ১০০ জনকে করোনার জীবানু দিয়ে আসলেন ওয়াশরুমে গিয়ে, ল্যাগেজ চেকিং করে,
তারপর বাংলাদেশের এয়ারপোর্টে শুরু হলো আপনার ভাইরাস বিতরন।
১ম আপনি ইমোগ্রেশনে বসে থাকা পুলিশকে পাসপোর্ট দিয়ে শুরু করলেন, সেই পুলিশ যদি ১০০ জনকে দেয়, সেই ১০০ জন কত জন এয়ারপোর্টে কর্মকর্তাকে দিবে?
১ম ভাইরাসের আকান্তে মারা যাবার কথা এয়ারপোর্টের কর্মকর্তাদের। ২০০ জনের ভেতরে ১৫০ জনের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বেশী তাই তারা বেঁচে গেলো বাকি ৫০ জন তো ১৬ দিনের পর একের পর এক মরা শুরু হবার কথা তাই না?
এয়ারপোর্টে এমন একটা জায়গা যেখান থেকেই ভাইরাস আশা শুরু অথচ কেও মারা যায় নি কেন?
চায়নাতে বসে চায়নার বিজ্ঞানিরা বলে দিতে পারছে বাংলাদেশ, ইন্ডিয়া, নেপালে ভাইরাসের চরিত্র পাল্টে গিয়েছে। জ্বর, কাশি-সর্দি, গলাব্যাথা হবে যা কিনা আমাদের দেশে প্রতি বছরই হয় এই সময়ে। চায়না থেকে ভাইরাস কি এই সময়ের অপেক্ষা করছিলো বাংলাদেশ, ইন্ডিয়া, নেপালে যাবার জন্য?
যখন সবাই ঘরে থাকতে চাইছে না তখন ভাইরাস তার চরিত্র আবার পাল্টে দিল। এবার চায়না আর ইটালির গবেষক বলছে এটা বাতাসেও ছড়ায়। ৬/৭ ফিট পর্যন্ত ভেসেও যেতে পারে।
চায়না জানে এ সময় প্রায় ঝড়, হয় তাই ঝড়ের বাতাসে যদি ভাইরাস আরো ৫ ফিট যায় তাহলে তো সবাই দরজা- জানালা বন্ধ করে ঘরে ভয়ে বসে থাকবে।
এবার প্রশ্ন করোনা ভাইরাস যদি ১৪ দিন পরে ভয়ঙ্কর রুপ নেয় শরীরে তাহলে
ডাঃ মঈন উদ্দিন এত তাড়াতাড়ি কিভাবে মারা গেলো?
সে কি আসলে করোনা রুগি ছিলো?
দেশে এ সময় অনেক অসুখ হয় আবহাওয়া জনিত কারনে সব অসুখ গুলো কি হোম কোয়ান্টামে আছে করোনার ভয়ে? মানুষ মারা যাচ্ছে শুধু করোনাতে আর তার সত্যায়িত করছে ডাক্তাররা।
করোনা ভাইরাসের রোগীর চিকিৎসা করতে গিয়ে কতজন ডাক্তার হোম কোয়ান্টাইনে গিয়েছে?
করোনা ভাইরাস কি ডাক্তারদেকে বেশী পছন্দ করছে আর এয়ারপোর্টের লোকদেরকে বাঁচিয়ে রাখছে চায়নাতে আবার ফিরে যাবে ফ্লাইটে করে বাংলাদেশকে শেষ করে?
চায়না, ইটালি, US এ সব বয়স্ক মানুষ মারা গিয়েছে। তাহলে কি বয়স্ক মানুষ এসব দেশে না খেয়ে থাকে আর সব খাবার বাচ্চা, যুবকরা খেয়ে থাকে তাই তাদের শরীরের ভাইরাস প্রতিরোধ ক্ষমতা অনেক বেশী।
আমাদের দেশে এসে এর চরিত্রও পাল্টে গেলো। কারন আমাদের দেশের ৯৯ জন মানুষের এই ঠান্ডার সমস্যা যুবক, বাচ্চা, বৃদ্ধ সবার।
আমরা আসলে কাদের রাজনীতির জালে আটকে পরেছি, চায়নার?
দেশের কিছু স্বার্থপর ডাক্তারদের?
নাকি অন্য কোন জালে…?
আমাদের সবার মনে রাখা উচিত ডাক্তার আমাদের জীবন বাঁচায়। দেশে এমন ডাক্তারের অভাব নেই। আবার আমাদের অপারেশনের নামে শরীরের অঙ্গ কেটে নষ্ট করার ডাক্তারের সংখ্যা ও কিন্তু কম নয়।
করোনা ভাইরাস নামক ‘টেনশন’ শব্দে আমরা মারা যাচ্ছি প্রতিনিয়ত। মনের শক্তি দিয়ে এর মোকাবেলা করতে হবে আমাদের।
আমার ধারনা ভুল হতে পারে, তবে আমাদের সবার উচিত সরকারের পাশে থেকে ঠান্ডা মাথায় এসব বিষয় গুলো চিন্তা করা। আমার প্রশ্নগুলোর উওর আপনাদের কাছে আশা করবো। ঘরে থাকুন দেশকে বাঁচাতে সরকারের পাশে থাকুন। কারণ দেশটা আমাদের সবার।
লেখক : শিক্ষক, রাজশাহী চারুকলা মহাবিদ্যালয়।
Leave a Reply