বৃহস্পতিবার, ২৩ মার্চ ২০২৩, ০১:০৬ পূর্বাহ্ন
রাজশাহীতে আয়োজিত দশম ঋত্বিক সম্মাননা পদক ও চলচ্চিত্র উৎসব ২০২১ এ প্রদর্শনী হলো বাংলা সাহিত্যের অন্যতম দিকপাল হাসান আজিজুল হকের জীবনালেখ্য নির্ভর প্রামাণ্য চলচ্চিত্র ‘এই পুরাতন আখরগুলি’। নির্মাণ করেছেন প্রসূন রহমান। তিনি বলেন, ‘হাসান আজিজুল হক বাংলাদেশের অন্যতম প্রধান লেখক, পেয়েছেন বাংলাদেশের উল্লেখযোগ্য সব সাহিত্য পুরস্কার। ৫০ মিনিট দৈর্ঘ্যরে চলচ্চিত্রটির প্রথম প্রদর্শনী হয়েছে গতকাল সন্ধ্যা ৬ টায় রাজশাহীর বড়কুঠির পদ্মা গার্ডেনে।
এই আনন্দঘন মুহুর্তটি স্মরণ করে রাখতে প্রসূন রহমান ফেসবুকে লিখেছেন
প্যান্ডেমিকের বৈরিতা কাটিয়ে অনেকদিন পর, খোলা আকাশের নীচে অনেকের সাথে বসে চলচ্চিত্র প্রদর্শনী দেখার সুযোগ হলো গতকাল সন্ধ্যায়, রাজশাহী শহরের পদ্মা গার্ডেনে।
অনেকদিন আগে আশা প্রকাশ করেছিলাম- উৎসব শুধু রাজধানীকেন্দ্রীক আর মিলনায়তন নির্ভর না হয়ে ছড়িয়ে পড়ুক সারাদেশে, সবখানে। উৎসব হোক মাঠে-ঘাটে, গাছতলায়, নদীর পাড়ে।
সে রকমই একটি আয়োজন এখন চলছে পদ্মা পাড়ে। খুব ভালো লেগেছে পদ্মা গার্ডেন এবং লালন মঞ্চকে ঘিরে ঋত্বিক সম্মাননা ও চলচ্চিত্র উৎসবের আন্তরিক সে আয়োজন।
আগেও আশান্বিত হয়েছি অপেক্ষাকৃত তরুণ নির্মাতাদের দ্বারা আয়োজিত গ্লোবাল ইয়ুথ ফিল্ম ফেস্টিভ্যালের যাত্রা দেখে। যারা ট্রাভেলিং ফেস্টিভ্যালের ধারনাটা নিয়ে গত ৫বছর ধরে একেক বছর একেক জেলায় উৎসবের আয়োজন করে যাচ্ছে।
এ মুহূর্তে আরো অনেকগুলো জেলায় চলচ্চিত্র উৎসবের আয়োজন হচ্ছে, হতে যাচ্ছে।
আমাদের দেশীয় উৎসবগুলো সফলভাবে আয়োজিত হলে, দেশের চলচ্চিত্রের পাশাপাশি বিদেশি নির্মাতাদের চলচ্চিত্র সমানভাবে প্রদর্শিত হলে, এর অনেকগুলোই একসময় আন্তর্জাতিক মর্যাদা পাবে।
আমাদের পোস্টারে তখন আর বিদেশী উৎসবের লরেল সংখ্যা গুনতে হবেনা। বিদেশি নির্মাতারাই আমাদের উৎসবের লরেল পেয়ে গর্বিত হবেন।
আমাদের সাংস্কৃতিক সক্রিয়তাই হয়তো চারপাশটাকে আরেকটু সহনীয় করে তুলতে পারে। আমাদের সৃজনশীল কাজের উদযাপন হয়তো মূল্যবোধের মূল্যটা বুঝতে আরেকটু সাহায্য করতে পারে। সাম্প্রদায়িক অনুভূতিগুলোকে প্রাগ্রসর চিন্তায় পরিণত করতে পারে।
জীবনের সময়গুলো উদযাপিত হোক নির্মোহ বাঁচার আনন্দে। সবার জন্যে শুভকামনা।
Leave a Reply