বৃহস্পতিবার, ২৩ মার্চ ২০২৩, ০১:১৫ পূর্বাহ্ন
করোনাভাইরাসের সংক্রমণ বাড়লেও সাধারণ ছুটি আর বাড়ছে না। তবে গণপরিবহন চলবে না। ৩১ মে থেকে ১৫ জুন পর্যন্ত সবাইকে স্বাস্থ্যবিধি মেনে অফিসে কাজ করতে হবে। ১৫ জুন পর্যন্ত আপাতত স্কুল, কলেজ বন্ধ থাকবে। সবাইকে স্বাস্থ্যবিধি মেনে কাজে যোগ দিতে হবে।
জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী ফরহাদ হোসেন বুধবার (২৭ মে) বিকেলে এ তথ্য জানান।
জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী বলেন, এ বিষয়ে প্রধানমন্ত্রীর অনুমোদন পাওয়া গেছে। বৃহস্পতিবার সকালে প্রজ্ঞাপন জারি হবে।
করোনাভাইরাসের সংক্রমণ পরিস্থিতি কঠোরভাবে নিয়ন্ত্রণে ৩০ মে পর্যন্ত সরকারি ছুটি চলছে। এর মধ্যে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত ও মৃত্যুর সংখা বেড়ে চলছে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে ২৬ মার্চ থেকে এ পর্যন্ত দফায় দফায় ছুটি বাড়ানো হয়েছে। ৩০ মে শেষ হচ্ছে সরকারি ছুটি।
করোনা সংক্রমণ রোধে ২৬ মার্চ থেকে ৪ এপ্রিল সরকারি ছুটি ঘোষণা করা হয়। এরপর ৪ এপ্রিল থেকে ১১ এপ্রিল, পরে তা বাড়িয়ে ১৪ এপ্রিল করা হয়। চতুর্থ দফা ১৪ এপ্রিল থেকে ২৫ এপ্রিল পর্যন্ত ছুটি বাড়ানো হয়। করোনা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে না আসায় পঞ্চম দফা ছুটি বাড়ানো হয় ৫ মে পর্যন্ত। সেটি বাড়িয়ে ১৬ মে, তারপর ১৭ মে থেকে ঈদুল ফিতরের পর ৩০ মে পর্যন্ত ছুটি বাড়ানো হয়।
তিনি জানান, সাধারণ ছুটি না বাড়লেও ১৫ জুন পর্যন্ত বাস, রেল ও লঞ্চসহ গণপরিবহন বন্ধ থাকবে। সব ধরণের শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ১৫ই জুন পর্যন্ত ছুটি থাকবে। তবে এসব শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে অনলাইন ক্লাস ও দূরশিক্ষণ চলবে।
”তবে স্বাস্থ্যবিধি মেনে বেসরকারি বিমান সংস্থাগুলো নিজ ব্যবস্থাপনায় স্বাস্থ্যবিধি মেনে বিমান চলাচল শুরু করতে পারবে। ব্যক্তিগত পরিবহন চলবে। তবে একজেলা থেকে আরেক জেলায় যাতায়াতের ক্ষেত্রে কঠোরতা আরোপ করা হবে। জেলায় প্রবেশ বা বর্হিগমন পথে চেকপোস্ট থাকবে।” জানিয়েছেন প্রতিমন্ত্রী ফরহাদ হোসেন।
”বয়স্ক, অসুস্থ ও গর্ভবর্তী মহিলারা কর্মস্থলে যোগদান থেকে বিরত থাকবেন। অন্যান্য কর্মকর্তারা ১৩টি স্বাস্থ্যবিধি মেনে অফিস করবেন।” তিনি বলছেন।
কর্মস্থলে যাওয়ার জন্য কোন অফিস সীমিত আকারে পরিবহন চালু করবে কিনা, সেই সিদ্ধান্ত ওই প্রতিষ্ঠান নেবে। সভা-সমাবেশ বা গণজমায়েত বন্ধ থাকবে। মসজিদ ও অন্যান্য ধর্মীয় উপাসনালয়ে স্বাস্থ্যবিধি মেনে নামাজ ও ধর্মীয় প্রার্থনা চলবে।
তিনি জানান, রাত আটটা থেকে সকাল ছয়টা পর্যন্ত মানুষজনের বাইরে বের হওয়ার ব্যাপারে যে নিষেধাজ্ঞা ছিল, সেটা বহাল থাকবে। এই সময়ে অকারণে বাইরে বের হলে শাস্তির মুখে পড়তে হবে।
এছাড়া স্বাস্থ্যবিধি মেনে দোকানপাট সকাল ৮টা থেকে বিকাল ৪টা পর্যন্ত খোলা রাখতে পারবে। অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ড চালু রাখতে সীমিত পরিসরে সব অফিস খোলার এই সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে বলে প্রতিমন্ত্রী জানান। এই বিষয়ে প্রজ্ঞাপনে প্রধানমন্ত্রীর অনুমোদন পাওয়া গেছে। বৃহস্পতিবার সকালে এ সংক্রান্ত প্রজ্ঞাপনটি জারি করা হবে।
সুত্র: সিল্কসিটি নিউজ ও বিবিসি বাংলা
Leave a Reply