সোমবার, ০২ অক্টোবর ২০২৩, ১২:৩১ পূর্বাহ্ন
অনলাইন ডেস্ক
করোনার ক্ষতিরোধে সরকার ঘোষিত প্রণোদনা প্যাকেজ দ্রুত বাস্তবায়নে বাণিজ্যিক ব্যাংকগুলোকে তাগিদ দিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক। এছাড়া ঋণ আবেদন দ্রুত যাচাই-বাছাই এবং মঞ্জুর করতে হবে।
যদি কেউ ঋণ পাওয়ার যোগ্য না হন, তাও তাকে দ্রুত জানাতে হবে। বৃহস্পতিবার রাতে এ সংক্রান্ত এক প্রজ্ঞাপন জারি করে সব ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও প্রধান নির্বাহীর কাছে পাঠানো হয়েছে।
এতে বলা হয়, করোনা প্রাদুর্ভাব মোকাবেলায় ও অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ড পুনরুজ্জীবিত করার লক্ষ্যে এখন পর্যন্ত এক লাখ তিন হাজার ১১৭ কোটি টাকার প্রণোদনা প্যাকেজ ঘোষণা করেছে সরকার।
ওই প্যাকেজসমূহের মধ্যে রফতানিমুখী শিল্প প্রতিষ্ঠানের জন্য বিশেষ তহবিল, কৃষি ভর্তুকি, বিনামূল্যে খাদ্যসামগ্রী বিতরণ, গৃহহীন মানুষের জন্য গৃহনির্মাণ, বাণিজ্যিক ব্যাংকগুলোর স্থগিত সুদের ওপর ভর্তুকিসহ ইত্যাদি খাতে সরকারের রাজস্ব খাত থেকে অর্থায়ন করা হচ্ছে।
এর মধ্যে উল্লেখযোগ্য শিল্প ও সেবা খাতের ক্ষতিগ্রস্ত উদ্যোক্তাদের ব্যবসা চলমান রাখতে চলতি মূলধন খাতে ৩০ হাজার কোটি টাকা প্রণোদনা প্যাকেজ ঘোষণা করা হয়।
একই সঙ্গে কটেজ, মাইক্রো, ক্ষুদ্র ও মাঝারি খাতের ক্ষতিগ্রস্ত উদ্যোক্তাদের জন্য আরও ২০ হাজার কোটি টাকার প্যাকেজ ঘোষণা করা হয়। এ দু’টি প্যাকেজ বাস্তবায়নে ব্যাংকের নিজস্ব তহবিল ব্যবহৃত হবে, যার বিপরীতে সরকার কর্তৃক সুদ ভর্তুকি দেয়া হবে।
এছাড়াও দেশের ব্যাংকিং খাতে তারল্যের অবস্থা স্বাভাবিক রাখার লক্ষ্যে উল্লেখিত ওয়ার্কিং ক্যাপিটাল সুবিধার বিপরীতে বাংলাদেশ ব্যাংক কর্তৃক প্রি-শিপমেন্ট ক্রেডিট, নিম্ন আয়ের পেশাজীবী কৃষক, ক্ষুদ্র ব্যবসায়ী ও কৃষিসহ বিভিন্ন খাতে পুনঃঅর্থায়ন স্কিম চালু করা হয়েছে।
প্রজ্ঞাপনে বলা হয়েছে, এসব প্যাকেজ যথাযথ ও দ্রুত বাস্তবায়নে ব্যাংকের প্রধান কার্যালয়, শাখা, উপশাখা পর্যায়ের সব কর্মকর্তাকে সম্পৃক্ত করা জরুরি। অন্যথায় প্যাকেজগুলো বাস্তবায়নে কাঙ্ক্ষিত মাত্রায় পৌঁছানো সম্ভব হবে না।
যা মোটেও কাম্য নয়। ঘোষিত প্যাকেজ দ্রুত বাস্তবায়নে বেশ কিছু নির্দেশনা দিয়েছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক। এর মধ্যে রয়েছে- ঋণ আবেদন স্বল্প সময়ে যাচাই-বাছাই এবং দ্রুত মঞ্জুরের ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে।
যদি আবেদনকারী ঋণ পাওয়ার যোগ্য না হন, তাও তাকে দ্রুত জানাতে হবে। ব্যাংকের প্রত্যেক শাখায় একটি স্বতন্ত্র হেল্প ডেস্ক গঠন করতে হবে। যা দৃষ্টিগোচর স্থানে প্রদর্শন করতে হবে।
প্রণোদনা প্যাকেজের সার্বিক মনিটরিং কার্যক্রম ব্যাংকের প্রধান নির্বাহীর সরাসরি তত্ত্বাবধানে পরিচালিত হবে। যা অবিলম্বে কার্যকর করতে হবে।
এতে আরও বলা হয়েছে, দেশের এই কঠিন পরিস্থিতিতে অর্থনীতির চাকা সচল রাখতে ব্যাংক কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের ভূমিকা অগ্রগণ্য ও অনস্বীকার্য।
তাদের সক্রিয় অংশগ্রহণ ব্যতীত দেশের অর্থনীতি ঘুরে দাঁড়ানো এবং জিডিপির কাঙ্ক্ষিত লক্ষ্য অর্জন সম্ভব হবে না।
এ প্রেক্ষিতে, ব্যাংক কর্মকর্তা ও কর্মচারীরা অধিকতর উজ্জীবিত হয়ে বাংলাদেশ ব্যাংক কর্তৃক ঋণ প্রণোদনা প্যাকেজ বাস্তবায়নে যাতে অগ্রগণ্য ভূমিকা পালন করতে পারে সে লক্ষ্যে প্রয়োজনীয় সব উদ্যোগ গ্রহণ করার জন্য ব্যাংকগুলোকে নির্দেশ দেয়া হলো।
সূত্র: যুগান্তর
Leave a Reply