রবিবার, ২৬ মার্চ ২০২৩, ১২:১৯ অপরাহ্ন
নিজস্ব প্রতিবদেক :
আজও রাজশাহী মেডিকেল কলেজ (রামেক) হাসপাতালের করোনা ওয়ার্ডে ১১ জনের মৃত্যু হয়েছে। এনিয়ে গেলো পাঁচদিনে ৯৩ জনের মৃত্যু হয়েছে। আর ঈদের চারদিনে মৃত্যু হয়েছে ৮২ জনের। তবে গত চারদিনের তুলনায় কমেছে মৃত্যুর হার। এমন চিত্র উঠে এসেছে গত চারদিনে রামেক হাসপাতালে মৃত্যু সংখ্যার বিশ্লেষণে এই তথ্য উঠে এসেছে।
জানা গেছে, গত ২৪ ঘণ্টায় শুক্রবার (২৩ জুলাই) সকাল ৮টা থেকে শনিবার (২৪ জুলাই) সকাল ৮টার মধ্যে ১১ জনের মৃত্যু হয়েছে। তারা হাসপাতালটির বিভিন্ন করোনা ওয়ার্ডে চিকিৎসাধীন ছিলেন।
রামেক হাসপাতালের পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল শামীম ইয়াজদানী জানান, মৃতদের মধ্যে করোনা আক্রান্ত হয়ে ৭ জন ও উপসর্গে ৫ জন মারা গেছেন। এদের মধ্যে মধ্যে রাজশাহীর ৬, পাবনা ২ এবং নাটোর, কুষ্টিয়া ও নওগাঁর একজন করে আছেন।
করোনা আক্রান্ত ও উপসর্গ নিয়ে রোগীদের ভর্তি ও সংক্রমণের বিষয়ে রামেক হাসপাতালের পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল শামীম ইয়াজদানী জানান, গত ২৪ ঘণ্টায় রামেকে নতুন ভর্তি হয়েছেন ৫৭ জন। বর্তমানে রামেক হাসপাতালে ৫১৩টি করোনা ডেডিকেটেড শয্যার বিপরীতে রোগী ভর্তি আছেন ৪১৯ জন।
অন্যদিকে, ঈদের আগের দিন (২০ জুলাই মঙ্গলবার) ২০ জনের মৃত্যু হয়। এর মধ্যে করোনা আক্রান্ত হয়ে চারজন ও উপসর্গে ১৬ জন মারা গেছেন। মারা যাওয়া ২০ জনের মধ্যে রাজশাহীর আটজন, চাঁপাইনবাবগঞ্জের দুইজন, নাটোরের পাঁচজন, নওগাঁ দুইজন ও কুষ্টিয়ার তিনজন।
তবে ঈদের দিন গত বুধবার (২১ জুলাই) দুজন কমে ২৪ ঘন্টায় ১৮ জনের মৃত্যু হয়। ১৮ জনের মধ্যে করোনায় চারজন ও উপসর্গে ১৪ জন মারা গেছেন। মৃত ১৮ জনের মধ্যে রাজশাহীর আটজন, নাটোরের চারজন, পাবনা ও চাঁপাইনবাবগঞ্জে দুজন করে, নওগাঁ ও কুষ্টিয়ার একজন।
ঈদের দ্বিতীয় দিন গত ( বৃহস্পতিবার ২২ জুলাই) হাসপাতালের করোনা ইউনিটে মারা যায় ২২ জন। ঐদিন করোনা আক্রান্ত সাতজন ও উপসর্গ নিয়ে আরও ১৫ জন মারা গেছেন। মৃতদের মধ্যে রাজশাহীর ১০ জন, নাটোরের ছয়জন, নওগাঁ দুইজন ও পাবনার চারজন। মারা যাওয়া ২২ জনের মধ্যে ১৩ জন পুরুষ এবং ৯ জন নারী।
গতকাল শুক্রবার (২৩ জুলাই) করোনা ইউনিটে আরও ২২ জনের মৃত্যু হয়। চিকিৎসাধীন অবস্থায় আরও ছয়জনের মৃত্যু হয়েছে। একই সময় করোনা উপসর্গ নিয়ে আরও ১৫ জন মারা গেছেন। এছাড়াও করোনামুক্ত হওয়ার পর স্বাস্থ্য জটিলতায় মারা যান একজন। মৃতদের মধ্যে রাজশাহীর ১১ জন, চাঁপাইনবাবগঞ্জের চারজন, নাটোরের দুইজন, নওগাঁ একজন ও পাবনার চারজন। মারা যাওয়া ২২ জনের মধ্যে ১৪ জন পুরুষ এবং আটজন নারী।
Leave a Reply