সোমবার, ২৯ মে ২০২৩, ০৫:০৯ পূর্বাহ্ন
ফুলবাড়িয়ায় করোনাভাইরাসের নমুনা সংগ্রহ শুরু হয়েছে গত ৩ এপ্রিল থেকে। যেসব গ্রামে টেকনিশিয়ানরা অ্যাম্বুলেন্স নিয়ে নমুনা সংগ্রহ করতে যায় সেই সব গ্রামে আতঙ্কিত হয়ে পরে মানুষ। আবার অনেক উৎসুক জনতা করোনার উপসর্গ সংগ্রহ দেখতে ভিড় করে। নমুনা সংগ্রহকারীরা করোনা উপসর্গ দেখা দেওয়া ব্যক্তির আশপাশে না আসতে নিষেধ করলেও কোন কাজ হয় না। চিকিৎসকদের মতে করোনা নমুনা সংগ্রহ করার সময় উৎসুক মানুষের ভিড় করা মানেই মারাত্মক ঝুঁকির মধ্যে থাকা, কার শরীরে করোনার অস্তিত্ব রয়েছে বলা যায় না, যে কারণে কোন ভাবেই তাঁদের সংস্পর্শে বা আশপাশে যাওয়া ঠিক হচ্ছেনা।
আজ উপজেলার পুটিজানা ইউনিয়নের পুটিজানা নামাপাড়া ও পেতুনি পাড়া গ্রামে বাস চালক, নারী ও শিশুসহ তিন জনের শরীরে করোনার উপসর্গ দেখা দেওয়ায় নমুনা সংগ্রহ করতে যায় উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের মেডিক্যাল টেকনোলজিস্ট (ল্যাব) মোস্তাফিজুর রহমান ও মেডিক্যাল টেকনোলজিস্ট (ইপিআই) এস, এম হাসমত আলী। নমুনা সংগ্রহ দেখতে গ্রামের উৎসুক মানুষ চারদিক থেকে ভিড় করেন। নিরাপদ দূরত্বও তারা বাজায় রাখেনি। এ সময় মানুষের ভিড় সামলিয়ে তাদের কাজ করতেও কিছুটা সমস্যার সৃষ্টি হয়।
এলাকাবাসী জানান, গত ৬ দিন আগে নারায়ণগঞ্জ থেকে এক যুবক ফুলবাড়িয়া উপজেলার পুটিজানা ইউনিয়নের নামাপাড়া গ্রামের বাড়িতে আসে। সে বাড়ি আসার দুই দিন পর তাঁর মা (৬২) জ্বর, ঠান্ডা, কাশি, শরীর ব্যাথ ও পাতলা পায়খানাসহ করোনার উপসর্গ দেখা দেয়। গত দুই সপ্তাহ আগে ঢাকা থেকে একই গ্রামের বাসগাড়ি চালক (৩৬) বাড়ি আসলে গত চারদিন যাবৎ তাঁর শরীরে জ্বর,কাশিসহ করোনার উপসর্গ দেখা দেয়। একই ইউনিয়নের পেতুনি পাড়া গ্রামে গত এক সপ্তাহ আগে ঢাকা থেকে এক শিশু (১৪) বাড়ি আসলে সেও অসুস্থ হয়ে পরে। সে ঢাকায় বাসা বাড়িতে গৃহপরিচিকার কাজ করতো। সোমবার তাদের তিন জনের শরীর থেকে নমুনা সংগ্রহ করে পরিক্ষার জন্য ময়মনসিংহ মেডিক্যাল কলেজ হাসপতালে পাঠানো হয়েছে। আজ দুপুরে ৩ জনসহ এ পর্যন্ত উপজেলার বিভিন্ন অঞ্চল থেকে ১৮ জনের শরীর থেকে নমুনা সংগ্রহ করে পরীক্ষার করা হয়েছে। তাদের মধ্যে আগের ১৫ জনের শরীরে করোনা ভাইরাসের কোন অস্তিত্ব পাওয়া যায়নি। নতুন তিনজনের রিপোর্ট আগামীকাল (মঙ্গলবার) পাওয়া যাবে বলে হাসপতাল সূত্রে জানা গেছ।
মেডিক্যাল টেকনোলজিস্ট (ইপিআই) এস. এম হাসমত আলী বলেন, করোনার উপসর্গ দেখা দেওয়া ব্যাক্তিদের নমুনা সংগ্রহ করতে গেলে গ্রামের মুনষ ভিড় জমায়, চলে যেতে বললেও তাঁরা যায় না, মানুষের ভিড়ের কারণে কাজের কিছুটা সমস্যা হয়।
উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. বিধান চন্দ্র দেবনাথ জানান, নমুনা সংগ্রহ করার সময় মানুষে ভিড় করা কোন ভাবেই ঠিক না, এটা মারাত্মক ঝুঁকি। কার শরীরে করোনা অস্তিত্ব রয়েছে বলা যায় না।
Leave a Reply