মঙ্গলবার, ২৬ সেপ্টেম্বর ২০২৩, ০৬:১৭ অপরাহ্ন
নিজস্ব প্রতিবেদক :
রাজশাহী সিটি কর্পোরেশনের মেয়র এ.এইচ.এম খায়রুজ্জামান লিটন বলেছেন, রাজশাহী মহানগরীতে করোনায় আক্রান্তদের সহযোগিতায় ৩০টি ওয়ার্ডে স্বেচ্ছাসবক দল গঠন করা হচ্ছে। ৩০টি দল সব সময় সক্রিয় থাকবে, খবর পেলেই আক্রান্ত ব্যক্তির বাড়িতে চলে যাবে। আক্রান্ত ব্যক্তির বাড়ি বাড়ি জরুরি ওষুধ ও খাদ্য সামগ্রী পৌছে দেওয়াসহ অন্যান্য সহযোগিতা প্রদান করবে।
রাজশাহী মহানগরীর করোনা পরিস্থিতি নিয়ে রাজশাহী সিটি কর্পোরেশনের মেয়র এ.এইচ.এম খায়রুজ্জামান লিটন সিটি কর্পোরেশনের বিভাগীয় প্রধান ও শাখা প্রধানগণের সাথে মতবিনিময়কালে এসব কথা বলেন। বৃহস্পতিবার বিকেল ৫ থেকে সন্ধ্যা ৭টা পর্যন্ত নগর ভবনের সিটি হলরুমে এই সভা অনুষ্ঠিত হয়।
সভায় সভাপতির বক্তব্যে মেয়র খায়রুজ্জামান লিটন বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, ‘জীবন থেমে থাকতে পারে না। করোনাকে জয় করে এগিয়ে যেতে হবে।’ একই সুরে আমরা বলছি, করোনাকে প্রতিরোধ করেই আমাদের অগ্রযাত্রা অব্যাহত থাকবে।
মেয়র আরো বলেন, করোনার সংক্রমণ বৃদ্ধি পাওয়ায় পুরো মহানগর নিয়ে নতুন করতে ভাবতে হচ্ছে। নগরীতে জীবণানুশক স্প্রে ও পরিচ্ছন্নতা কার্যক্রম আরো জোরদার করা হবে। করোনার সংক্রমণ ঠেকানোর লক্ষ্যে নগর ভবনে ইতোমধ্যে একটি স্বয়ংক্রিয় জীবাণুনাশক টানেল বসানো হয়েছে। আরো ৩/৪টি স্থাপন করা হবে। সিটি কর্পোরেশনে আগত সবাইকে এই টানেলে মধ্য দিয়ে প্রবেশ করতে হবে। জরুরি সেবা প্রদান কার্যক্রম সহজ করতে নগর ভবনের সম্মুখ চত্বরে ওয়ান স্টপ সার্ভিস বুথ স্থাপন করার পরিকল্পনা করা হচ্ছে।
মেয়র খায়রুজ্জামান লিটন বলেন, এই করোনা পরিস্থিতির মধ্যে সিটি কর্পোরেশনের কার্যক্রম থেমে নেই। করোনা যোদ্ধাদের মতোই জীবনের ঝুঁকি নিয়ে রাজশাহী সিটি কর্পোরেশনের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা নগরবাসীকে সেবা প্রদান করে যাচ্ছে। এরমধ্যে কয়েকজন আক্রান্ত হয়েছেন। সিটি কর্পোরেশনের আক্রান্তদের সহযোগিতা প্রদান করা হবে।
এ সময় মেয়র সিটি কর্পোরেশনের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের প্রত্যেকে সচেতন ও সুরক্ষিত থেকে সেবা কার্যক্রম অব্যাহত রাখার নির্দেশনা প্রদান করেন।
সবাইকে মানবিক হওয়ার আহ্বান জানিয়ে মেয়র বলেন, মানুষ মানুষের জন্য। আমরা এটা যেন ভুলে না যাই। মানুষ এর চেয়ে খারাপ সময় পার করেছে। এই দুঃসময়ে নিজেরা যেন অমানবিক না হই। আক্রান্তদের আত্মীয়-স্বজনরা যেন তাদের ফেলে না যাই। বুকে সাহস নিয়ে আমাদের কাজ করে যেতে হবে।
এ সময় মহানগরবাসীকে আতঙ্কিত না হয়ে স্বাস্থ্যবিধি ও সরকারি নির্দেশনা মেনে চলার আহ্বান জানান।
সভায় উপস্থিত ছিলেন, প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা ড. এবিএম শরীফ উদ্দিন, সচিব আবু হায়াত মোঃ রহমতুল্লাহ, প্রধান রাজস্ব কর্মকর্তা শাহানা আখতার জাহান, বাজেট কাম হিসাব রক্ষণ কর্মকর্তা শফিকুল ইসলাম খান, ভারপ্রাপ্ত প্রধান প্রকৌশলী খন্দকার খায়রুল বাশার, প্রধান পরিচ্ছন্ন কর্মকর্তা শেখ মোঃ মামুন ডলার।
সভায় আরো উপস্থিত ছিলেন মেয়রের একান্ত সচিব মোঃ আলমগীর কবির, এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট সমর কুমার পাল, নির্বাহী প্রকৌশলী (পরিকল্পনা) গোলাম মুর্শেদ, নির্বাহী প্রকৌশলী নূর ইসলাম তুষার, নির্বাহী প্রকৌশলী (বিদ্যুৎ) রেয়াজাত হোসেন রিটু, রাজস্ব কর্মকর্তা আবু সালেহ নূরে-ই সাঈদ, হিসাব রক্ষণ কর্মকর্তা নিজামুল হোদা প্রমূখ।
Leave a Reply