বৃহস্পতিবার, ২৩ মার্চ ২০২৩, ০২:১৯ পূর্বাহ্ন
নিজস্ব প্রতিবেদক :
আসন্ন ২০২০-২০২১ অর্ধ বছরের জাতীয় বাজেটে কৃষক ও শ্রমজীবী তরুণদের জন্য পৃথক বরাদ্দ রাখার জন্য দাবি জানানো হয়েছে। রাজশাহী বরেন্দ্র অঞ্চল যুব সংগঠন ফোরাম ও উন্নয়ন গবেষণা প্রতিষ্ঠান বারসিক’র যৌথ আয়োজনে অনলাইন ভিত্তিক সংবাদ সম্মেলনে এ দাবি জানানো হয়েছে।
আজ (১ জুন) সেমাবার সকাল ১১ ঘটিকায় সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকের ‘বারিন্দ ট্র্যাক ইয়ুথ অর্গানাইজেশন ফোরাম’ নামক গ্রুপে অনলাইন সংবাদ সম্মেলন ও মতিবিনিময়টি অনুষ্ঠিত হয়। বারসিক বরেন্দ্র অঞ্চলের সমন্বয়কারী শহিদুল ইসলাম তার ব্যাক্তিগত ফেসবুক একাউন্ট থেকে তা গ্রুপটিতে সরাসরি সম্প্রচার করেন।
বরেন্দ্র অঞ্চলের তরুণদের পাশপাশি এতে বাংলাদেশের বিভিন্ন অঞ্চলের তরুণ সংগঠনের প্রতিনিধিরা অংশগ্রহণ করেন। মতবিনিময়ে প্যানেলে আলোচক হিসেবে অংশ্রগহণ করেন ডেইলি স্টারের রাজশাহী প্রতিনিধি আনোয়ার আলী, দৈনিক ইত্তেফাক পত্রিকার জেলা প্রতিনিধি মো. আনিসুজ্জামান আনিস, ঢাকা থেকে লেখক ও গবেষক পাভেল পার্থ, রাজশাহী ব্যবসায়ী সমন্বয় পরিষদের সাধারণ সম্পাদক সেকেন্দার আলী, রাজশাহী বোয়ালীয়া থানা কৃষক লীগের সভাপতি জিয়াউর রহমান লিটন।
অনলাইন সংবাদ সম্মেলন এবং মতবিনিময়টির শুরুতে ধারনাপত্র এবং বারসিক ও তরুণদের পক্ষে ৯ দফা ও সুপারিশসমূহ তুলে ধরেন অনুষ্ঠানের সঞ্চালক বারসিক বরেন্দ্র অঞ্চলের সমন্বয়কারী শহিদুল ইসলাম।
তিনি বলেন, করোনাকালে সবেেচয়ে বেশী ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে কৃষি শ্রমজীবী তরুণ। করোনা মহামারীর সময়ে অনেক শ্রমজীবী তরুণ তাদের কর্মসংস্থান হারিয়েছে। বেকার হয়ে গ্রামে ফিরে এসছে। আর্থিক সংকটের কারনে নতুন কিছু করতেও বাঁধাগ্রস্ত হচ্ছে। করেনার কারনে লাখ লাখ তরুণ শ্রমিক তার চাকরি হারিয়েছে। গ্রামের কৃষক তরুণ পণ্যের সঠিক মূল্য না পেয়ে বার বার ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। নানাভাবেই হতাগ্রস্ত হচ্ছে। তবুও এই তরুণ আমাদের জন্য শত কষ্টেও উৎপাদন করে যায়। করোনাকালে সার্বিক পরিস্থিতি বিবেচনা করলে দেখা যায় এই কৃষক শ্রমজীবী তরুণরাই সবকিছু সচল রেখেছে। নানাভাবে তারা সমাজে দেশে সংকটকালিন সময়ে পাশে দাড়িয়েছে।
তিনি বলেন, আসছে (২০২০-২০২১) বাজটে বরাবরের মতো অন্যান্য খাতগুলোইে বেশী গুরুত্ব দেয়া হয়েছে। বাজেটের বেশীভাগ অর্থই উৎপাদনমুখী ও জীবন রক্ষাকারী কৃষি, স্বাস্থ্য খাতগুলোকে কম গুরুত্ব দেয়া হয়েছে। একই সাথে বিগত সময়ের বাজেটগুলোতে কখনোই কৃষক শ্রমজীবী তরুণদের জন্য আলাদা বা বিশেষ বরাদ্দ দেয়া হয়নি।
সার্বিক পরিস্থিতি বিবেচনায় আমরা মনে করি আসছে আগামী (২০২০-২০২১) বাজেটে কৃষক শ্রমজীবী তরুণদের জন্য আলাদা বিশেষ বরাদ্দ রাখা হোক। মতবিসিময়ে তরুণদের পক্ষে ৯ দফা ও দাবি তুলে ধরা হয়।
সুপারিশ ও দাবিসমূহ হলো :
মতবিনিময়ে তরুণদের প্রতিনিধি হিসেবে অংশগ্রহণ করেন সামুদ্রীক অঞ্চল সাতক্ষিরা শ্যামনগরের সিডিও ইয়ুথ টিমের সভাপতি সম. ওসমান গণি, বরেন্দ্র অঞ্চলের গ্রামের তরুণ সংগঠন রাজশাহী তানোর উপজেলার স্বপ্নচারী যুব সংগঠনের সভাপতি রুবেল হোসনে মিন্টু, আদিবাসী ছাত্র পরিষদের কেন্দ্রীয় কমিটি সহ সভাপতি সাবিত্রী হেমব্রম,
রাজশাহী শহর তরুণদের পক্ষে সামাজিক উন্নয়ন সংগঠনের সভাপতি রায়হান সম্রাট, সূর্যকিরণ বাংলাদেশের সভাপতি শাইখ তাসনিম জামাল, তরুণ সংগঠন বাংলাদেশ ইননোভেটিভ এডুকেশন সিস্টেম (বিআইইসি) এর সভপাতি জয়নুল আবেদিন সবুর সহ বিভিন্ন সংগঠনের তরুণ সদস্যগণ।
আলোচনা ও মতবিনিময়ে প্যানেল আলোচক হিসেবে ডেইলি স্টারের রাজশাহী প্রতিনিধি আনোয়ার আলী বলেন, আগামী বাজেটে অবশ্যই কৃষি এবং উৎপাদন মূখী খাতকে আরো বেশী গুরুত্ব দিতে হবে। একই সাথে তিনি তরুণদের ভিন্ন ভিন্ন পেশায় যুক্ত এবং দক্ষতা উন্নয়নের কথা বলেন।
ব্যবসায়ী সমন্বয় পরিষদের সাধারণ সম্পাদক সেকেন্দার আলী বলেন, সরকার নানা ধরনের সহযোগীতা করেন, কিন্তু দূর্নীতর কারনে সেই সেবা গুলো সঠিক মানুষগুলো পায়না। তাই তরুণদেরকেও সোচ্চার হতে হবে তাদের অধিকারগুলো সম্পর্কে। একইসাথে তিনি শহরের শ্রমজীবী তরুণদের নিয়ে বাজেটে আলাদা বরাদ্দের কথা বলেন।
লেখক ও গবেষক পাভেল পার্থ বলেন, করোনা মহামারী সময়ে সবকিছু যখন কৃষক ও শ্রমজীবীরা টিকিয়ে রেখেছে, তাই আসছে বাজেটে তাদের অধিক বেশী গুরুত্ব দিতে হবে। তিনি আরো বলেন, প্রতিটি অঞ্চলের ভৌগোলিক এবং আঞ্চলিক পেশাগুলো টিকিয়ে রাখার পরিকল্পনা করতে হবে।
Leave a Reply