সোমবার, ০২ অক্টোবর ২০২৩, ১২:৪৭ পূর্বাহ্ন
আগে যখন সর্দি হতো তখন আম্মা আমার গামছা,নাক মোছার জন্য রুমাল সব আলাদা করে দিতো, আম্মা বলতো এটা ছোয়াচে আমার গামছা দিয়ে অন্য কেও মুখ মুছলে তার ও হবে,যখন ঠান্ডা লাগতো ১ম দুই একদিন কিছু মনে হত না নাখ থেকে পানি ঝরতো,তারপর হালকা জ্বর আসতো পরে শুরু হতো মাথা ব্যাথা,আম্মা বলতো ঠান্ডা বেশি তাই এমন মাথা ব্যাথা হচ্ছে, গরম পানির ভাপ নিতাম মাথার উপর গামছা দিয়ে মাথা ব্যাথা, নাক বন্ধ সব ঠিক হয়ে যেতো, যখন ঠান্ডা কম হওয়া শুরু করতো তখন আবার নাক দিয়ে পানির মত হালকা সর্দি হত তখন আম্মা বলতো এখন ঠান্ডা কমে যাবে, সত্যিই তারপর ঠান্ডা কমে যেতো। এত কিছু লেখার কারন একটাই আমরা কি আমাদের চির পরিচিত ঠান্ডা জ্বর আর কাশির কথা সবাই ভুলতে বসেছি করোনা ভাইরাসের নামে? আমি যতবার দেশের বাইরে থেকে ফিরেছি ততবারই ইয়ারপোট থেকে বের হতে না হতেই আমার গলা বসে যেতো ঠান্ডা,হালকা জ্বর ও কাশি শুরু হতো এক সপ্তাহ ধরে রাখতে হতো আমাকে বাসাতে রেস্ট নিতে হবে, এখন যদি আমি দেশের বাইরে থেকে ফিরতাম তাহলে আমার এসব লক্ষন দেখে আমাকেও করোনা ভাইরাসের রুগি বলা হতো হয়ত,আমাদের দেশে ৯৯ জন মানুষেরই ঠান্ডার সমস্যা, চায়না মানুষকে আতঙ্কে মেরে ফেলেছে অর্ধেক বাকিটা মানুষ মারা যাচ্ছে টেনসনে,চায়না এটা নিয়ে রাজনীতি করছে কিনা আমরা কি তা বলতে পারি?১ম যখন করোনা ভাইরাস বাংলাদেশে ধরা পরলো তখন আমার নিঃশ্বাস বন্ধ হয়ে আসছিলো জাফরকে বললাম আমার মনে হয় করোনা হয়েছে জাফর বললো তোমার গ্যাসের সমস্যা হয়েছে সকালে তেলের খাবার খেয়েছিলে, একটা ইনো খেলাম জাফর আমার সাথে গল্প করতে শুরু করলো কিছুক্ষণ পর আমি ঠিক হয়ে গেলাম, পরে মনে হলো এমন অবস্হা হয়ত এখন সব মানুষের ভেতরে কাজ করছে, আমি রাশিয়া,জাপান,নেপাল এসব দেশে অনেক ঠান্ডার ভেতরে গিয়েছি, রাশিয়াতে ৩৯ দিন ছিলাম যখন কিনা অনেক ঠান্ডা বরফ পরছে আমার সেখানে কোন কাশি কিন্বা জ্বর ও হয়নি,এমনকি আমি ওখানকার কারো ঠান্ডার সমস্যা হতে দেখি নি। আমার নাকে সমস্যার জন্য শুধু নাক জ্বলতো, রেডওয়াইন খেয়ে তা কমে গেলো,আমরা কি তাহলে চায়নার ছড়ানো আতঙ্কে মরছি? গত বছর দেশে এই সময়ে নিমুনিয়াতে কতজন মারা গিয়েছে?ঠান্ডা জ্বর কত জনের হয়েছে?কতজন বৃদ্ধ শ্বস কস্টে মারা গিয়েছে?চায়না,ইটালিত,us বেশি বৃদ্ধ কেনো মারা গেলো?আমাদের দেশে ও পার্শ্ববর্তী দেশ ভারতে এখন পযন্ত বয়স্কদের সম্মান করা হয়, কিন্তুু ইউরোপীয়দেশ গুলো করা হয় না, তাদের দেশে কি বাচ্চারা সব পুস্টিবান বাচ্চা? এসব বিষয় গুলো মনে হয় আমাদের একটু ভেবে দেখা উচিত।যারা ডাক্তার আছেন তারা এখন সবাই করোনা ভাইরাস নিয়ে আতঙ্ক, আপনারা একটু মাথা ঠান্ডা করে এসব বিষয় গুলো একটু ভেবে দেখবেন,এটা কি সর্দির ভাইরাসের মত কোন কিছু কিনা,আমি কয়েকদিন আগে নিউজে us থেকে বাংলাদেশের একজন রিপোর্টারের ইন্টারভিউ দেখলাম টিভির নিউজে, সেখানে উনি বলেছেন করোনা ভাইরাস শুধুমাএ নাক ও মুখ থেকে সর্দির ফোটা যদি কারো শরীরে যায় তবে তার করোনা হতে পারে এই ইন্টারভিউটা দেখার পর থেকে আমার মনে হয়েছে আমাদের দেশের সবার পরিচিত সর্দি কাশির কথা, আপনারা সবাই বিষয়টা একটু ভেবে দেখবেন চায়নার দেওয়া ভয়ে ভিতু না হয়ে এখন দরকার সচেতনতা,পরিস্কার পরিচ্ছন্নতা আর সরকারের পাশে সবার থাকা।আমাদের দেশে যারা নিম্নবিত্ত তাদের সবার বাচ্চাদেরই এই সময়ে নাক দিয়ে পানি পরে জ্বর হয় কারন রাতে প্রচন্ড গরমে ঘেমে যায় আবার ভোরের ঠান্ডা পরিবেশে ঠান্ডা এই ঠান্ডা গরমে এখন বেশিরভাগ মানুষের এই অবস্থা, এটা নতুন কোন বিষয় না, এজন্য সব বিষয় ঠিকমত ভেবে একটু চিন্তা করা উচিত আমাদের সবার।আমদেরকে ইস্কুলে সব সময় শিখিয়েছে হাত ধুয়ে খাবার খেতে হবে, নিয়মিত গোসল করতে হবে,বাড়ি এবং আশে পাশে পরিস্কার রাখতে হবে আমরা শুধু নিজেরাই নিজেদের ঘরটা পরিস্কার করি আশেপাশে না,এজন্য চারিদিকে এত জীবানু নিজে পরিস্কার থাকুন আশেপাশে পরিস্কার রাখুন, আর ফেজবুকে অনেক গুজব ছরাচ্ছে অনেকে এসব থেকে বিরত থাকুন, পরিবারকে সময় দেবার সুযোগ পেয়েছেন সবাই পরিবারকে সময় দেন,যে ভালোবাসা গুলো নিজেদের কাছের মানুষের কাছ থেকে হারিয়ে গিয়েছিলো সেগুলো ফিরিয়ে আনার সুযোগ পেয়েছেন তা ফিরিয়ে আনার চেস্টা করুন, সরকারকে দোষ না দিয়ে নিজে সচেতন হন,সরকারকে মানষিক শক্তি দিতে হবে আমাদেরই কারন দেশটা আমাদের, নারগিস সোমা…!
Leave a Reply